অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ মার্চ ৬, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 489 বার
যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন অনতিবিলম্বে প্রণয়ন করা জরুরি। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেছেন। সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতি এবং মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সালমা আলী সভাপতিত্ব করেন। অ্যাডভোকেট তৌহিদা খন্দকার আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে সূচনা বক্তব্য রাখেন। এতে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরাসহ সমিতির সাধারণ সম্পাদক জোবায়দা পারভীন, জাকিয়া আনারকলি, জাহানারা বেগম শিখা, ফৌজিয়া বেগম, ফেয়ার ওয়্যার ফাউন্ডেশনের সারা তানজিনা ইভা, কারিতাস বাংলাদেশের আফরিন সুলতানা রূপালী আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং কর্মস্থলে নারী ও শিশুদের প্রতি যৌন হয়রানির প্রতিরোধের দিকনির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালে হাইকোর্ট একটি দিকনির্দেশনা প্রদান করে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মনিটরিং ব্যবস্থার অভাবে হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। তবে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন অনতিবিলম্বে প্রণয়ন করা জরুরি।
সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোবায়দা পারভীন তার লিখিত বক্তব্যে বিভিন্ন পত্রিকার প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী তুলনামূলক সহিংসতার চিত্র তুলে ধরেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানুয়ারি, ২০২০ সালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে ১২১টি এবং ফেব্রুয়ারিতে ১১৪টি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ওসিসি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এ বছর জানুয়ারি মাসে ধর্ষণের শিকার হয়ে ২১১ জন ভর্তি হয়।
Leave a Reply