জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 741 বার
রাজধানীর উত্তরায় হাউস বিল্ডিং মোড়ে ১২ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপলাইন ফেটে তীব্র বেগে গ্যাস বের হওয়ার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় যেকোনও সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। শুক্রবার (২৮ ফেব্রæয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে ঢাকা ময়মনসিংহের মহাসড়কসহ উত্তরা এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ছুটির দিনেও নগরবাসী ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজীপুর ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে ২০.৫ কিলোমিটার বিআরটি লাইন প্রকল্প নির্মাণ কাজের সময় মাটি খুড়তে গিয়েই এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে প্রকল্প এলাকার নিরাপত্তাকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থল লাল কাপড় দিয়ে ঘেরাও করে রাখেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ সাইফুল হক বলেন, সেখানে ১২ ইঞ্চি ব্যাসের একটি গ্যাসপাইপ ফেটে গেছে। তবে কেন এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখন বলতে পারবো না। সেখানে তিতাসের লোকজন গেছে, ফায়ার সার্ভিসও রয়েছে। আমরা গাড়ি ডাইভারশন করে দিয়েছি, যাতে সেখান দিয়ে গাড়ি না যায়।
রাজধানীর উত্তরা হাউজবিল্ডিং এলাকায় এ নিয়ে চতুর্থবারের বারের মত গ্যাসলাইন লিকেজ (ছিদ্র) হয়ে গ্যাস নির্গত হওয়ার ঘটনা ঘটলো।
উত্তরা জোনের ট্রাফিক পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার ইনকিলাবকে জানান, হঠাৎ করে গ্যাসের লিকেজ দেখা দেয়ায় দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
উত্তরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ডিউটি অফিসার জানান, রাজধানীর উত্তরা হাউজবিল্ডিং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস রেপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজের পাইলিং করতে গিয়ে এর আগে কমপক্ষে তিনবার গ্যাসের বিতরণ পাইপ লাইন কেটে গ্যাস নির্গত হওয়ার ঘটনা ঘটে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই অংশ থেকে আবারও গ্যাস নির্গত হতে থাকে। এতে আশেপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উত্তরা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আশেপাশে লোকজনদের নিরাপদে সরিয়ে দেয় যাতে করে আগুন লাগলে তাৎক্ষণিক মোকাবেলা করা যায়। তিনি জানান, তিতাস গ্যাসের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে গেছে। তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনায় উত্তরা থেকে বিমানবন্দর হয়ে মহাখালী এবং হাউজ বিল্ডিং থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত দুপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি উত্তরা এলাকার প্রতিটি সড়কে শত শত গাড়ি ঢুকে পরায় যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভুক্তভোগিরা জানান, ঘটনা ঘটার পর পুলিশ তৎপর হলে এরকম যানজটের সৃষ্টি হতো না। দূর থেকে গ্যাস নির্গত হতে দেখে গাড়িগুলো এলোপাথারিভাবে অলি-গলিতে ঢুকে পরায় চেষ্টায় যানজট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এমনটি বিকল্প পথে যানবাহন চলাচলেও পুলিশের তৎপরতা না থাকায় পরিস্থিতি ক্রমে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
Leave a Reply