জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ জানুয়ারি ৭, ২০২০ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 348 বার
দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকার সম্পাদক এম জি কিবরিয়া চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতারের কারণে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ করেছেন বিচার। রবিবার বিকালে নোয়াখালীর ৬ নং আমলি আদালতের বিচারক মো. সায়দীন নাহি এ আদেশ দেন।
শনিবার ( ৪ জানুয়ারি) রাতে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকার নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে পল্টন থানা পুলিশের সহযোগিতায় গ্রেফতার করে সোনাইমুড়ি থানা পুলিশ।
তমা গ্রুপের মালিক আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বিগত ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ইং পত্রিকার চেয়ারম্যান মনিরুন্নেছা রিনু ও সম্পাদক এম জি কিবরিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/০২/২৯(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার ভিত্তিতে গতকাল রাতে তাকে গ্রেফতার করে সোনাইমুড়ী থানায় নিয়ে আসা হয়। আজ তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়াও আদেশে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সামাদ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রেজাউল হক কে শোকজ করা হয় এবং অ-আমল যোগ্য মামলায় আদালতের বিনা অনুমতিতে কিভাবে তাকে গ্রেফতার করা হলো আদালতে স্ব শরীরে উপস্থিত হয়ে তার জবাব দেয়ার জন্য বিজ্ঞ আদালত আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৭ নভেম্বর ২০১৯ইং তারিখে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকায় “তমা গ্রুপের মানিক হাজার কোটি টাকার মালিক, জামাত শিবির বিএনপি হয়ে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি” শিরোনামে বিশেষ প্রতিনিধির বরাত দিয়ে একটি সংবাদ পরিবেশন করেন। উক্ত সংবাদে আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ক্ষিপ্ত হয়ে ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ইং তারিখে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মানহানী মামলা করেন। যার নং-১৫/১৯। বর্তমান জি.আর মামলা নং- ৩০০৬/১৯।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৭ নভেম্বর ২০১৯ইং তারিখে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকায় ‘তমা গ্রুপের মানিক হাজার কোটি টাকার মালিক, জামায়াত শিবির বিএনপি হয়ে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি’ শিরোনামে বিশেষ প্রতিনিধির বরাত দিয়ে একটি সংবাদ পরিবেশন করেন। ওই সংবাদে আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ক্ষিপ্ত হয়ে ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ইং তারিখে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মানহানি মামলা করেন। যার নং-১৫/১৯। বর্তমান জি. আর মামলা নং- ৩০০৬/১৯।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর এম জি কিবরিয়া চৌধুরী তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার করে সাংবাদিকদের হয়রানি করছে। পুলিশের কাছে আমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে কিনা জানতে চাইলে, তারা আমাকে কোনও কথা বলতে দেয়নি। এ আইনটি প্রণয়ণের সঙ্গে আমিও সম্পৃক্ত ছিলাম। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে হলে ঢাকার বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালত করতে হবে। মামলা দায়েরের পর আদালত এ ব্যবস্থা নিবেন। সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ এই মামলা করতে পারে না এবং বিনা ওয়ারেন্টে আমাকে গ্রেফতার দেখাতে পারে না।
Leave a Reply