জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 606 বার
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রায় ৪ হাজার ৬১১ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে । এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ হবে ৪ হাজার ৩৬৬ কোটি ১২ লাখ টাকা। আর বাদবাকি ২৪৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা দেবে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর পরিকল্পনা কমিশনে এনইসির মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আজ মোট ৪ হাজার ৬১১ দশমিক ৬২ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে মোট ৯টি প্রকল্পকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মোট ব্যয়ের মধ্যে ৪ হাজার ৪৬৬ দশমিক ১২ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে সংগ্রহ করা হবে। অবশিষ্ট ২৪৫ দশমিক ৫০ কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।
অনুমোদিত নয়টি প্রকল্পের মধ্যে সাতটি নতুন ও অন্য দু’টি সংশোধিত প্রকল্প।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
মূল প্রকল্পের আওতায় রয়েছে উত্তরায় ৩টি ও পূর্বাঞ্চলে ১১টি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ, ১৫৪টি প্রাথমিক স্কুলের ২ হাজার ৯৭৫টি কক্ষ ও ৮ হাজার ৫শ’ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ।
পাশাপাশি, ১৭৭টি স্কুলের প্রায় ১ হাজার ১৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় কক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার।
এছাড়াও প্রকল্পটির আওতায় ৩৫৬টি সীমানা প্রাচীর সংস্কারের পাশাপাশি ২৫ হাজার ৫৩৬টি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, প্রয়োজনীয় ভূমি অধিগ্রহণ ও ভরাটকরণ।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে, প্রায় ২ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার্থীর জন্য শিশুবান্ধব শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
একনেকের এই বৈঠকে ৯৪৪ দশমিক ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে অপর একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের হাওর এলাকগুলোর নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে।
মূল প্রকল্পে ৫২টি ছাত্রদের হোস্টেল, ৩১টি ভবন, একটি শিক্ষকদের ডরমেটরি, ও ৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীর নির্মিত হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপর থেকে পরীক্ষার চাপ কমানোর উপায় বের করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। এর ফলে শিশুরা খেলাধূলা করার জন্য আরো বেশি সময় পাবে।
তিনি প্রয়োজনীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষে নেত্রোকোনা ও সুনামগঞ্জ ছাড়াও হাওর এলাকার অবশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এই প্রকল্পের আওতায় আনার পরামর্শ দেন।
Leave a Reply