অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ ডিসেম্বর ২০, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 925 বার
কক্সবাজারের তিন উপজেলায় একদিনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন অপরাধীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মাঝে একজন রোহিঙ্গা অপরাধীও রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ও সকালে পৃথক সময়ে র্যাবের সঙ্গে এবং নিজেদের মাঝে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তারা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালামারছাড়া ইউনিয়নের নোনাছড়িতে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জয়নাল আবেদীন ওরফে জয়নাল ডাকাত (৩০) নিহত হয়েছে। এলাকার পূর্ব নোনাছড়ি এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। নিহত জয়নাল ওই এলাকার মুফিজুর রহমান প্রকাশ মজু বলীর ছেলে।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে পূর্ব নোনাছড়ি এলাকায় অভিযানে যায় র্যাবের একটি দল। র্যাবের উপস্থিতি ঠের পেলে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে সন্ত্রাসীরা। এ সময় আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তালিকাভুক্ত ডাকাত জয়নাল আবেদীন নিহত হন।
এ সময় একই এলাকার এলাদনের ছেলে সন্ত্রাসী শাহজাহান (৩৩) ও ফজল করিমের ছেলে আবছারকে (৩৫) গ্রেফতার করার পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
অপরদিকে, কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডাকাতদলের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ উপকূলের ত্রাস ১৭ মামলার পলাতক আসামি দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু ডাকাত (৪২) নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোররাতে উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের সুরাপজপুরের কালাইয়ার গোদা পাহাড়ি এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ওসি হাবিবুর রহমান।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আনু ডাকাতের মরদেহ ও ডাকাতদলের ফেলে যাওয়া একটি এলজি, চার রাউন্ড কার্তুজ ও ৯ রাউন্ড ব্যবহৃত গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
নিহত আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু ডাকাত চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের লাল মোহাম্মদ পাড়ার মুজিব উল্লাহ ওরফে কিনাইয়া ডাকাতের ছেলে।
ওসি হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু চকরিয়ার উপকূলীয় চিংড়িজোনের ত্রাস। তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, হত্যা, অস্ত্র, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, পুলিশ এসল্ড, ডাকাতির প্রস্তুতিসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিল। তন্মধ্যে ১৬টি মামলা চকরিয়া থানার এবং একটি মহেশখালীর।
ওসি আরও জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সশস্ত্র ডাকাতদলের দুই পক্ষে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে দুইটি মামলা রুজু হয়েছে।
অন্যদিকে, টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আলোচিত রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল করিম (৩৮) নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন ট্যুরিস্ট পার্ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব জানায়, নিহত করিম ডাকাতি, মাদক এবং অপহরণ কারবারে জড়িত ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় অস্ত্র, ১০ হাজার পিস ইয়াবা, ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও দুটি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
করিম টেকনাফের হ্নীলার লেদা ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার ডি ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় খুন, ডাকাতি, অপহরণ ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।
র্যাব-১৫ টেকনাফ ক্যাম্পের ইনর্চাজ লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব (এক্সবিএন) জানান, ভোরে মাদক পাচারের জন্য টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন বরইতলী এলাকায় একদল ডাকাতের অবস্থানের সংবাদে র্যাবের বিশেষ টহল দল সেখানে যায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় তারা। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ গুলি বিনিময়ের পর ডাকাতরা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়।
Leave a Reply