অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ ডিসেম্বর ২০, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 806 বার
রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় দেশ ও জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী জুনু গতকাল বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার ডাকযোগে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ও তার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ওই নোটিশ পাঠান।
নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে সংবিধান লঙ্ঘন করে মুক্তিযোদ্ধাদের চরিত্র হননের জন্য দেশের প্রচলিত আইনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে জানতে পারি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় নানা অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এ তালিকায় এমন সব ব্যক্তির নাম এসেছে যারা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন এবং হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। কেউ কেউ সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন।
রাজাকারের তালিকায় এমন শহীদ পরিবারের সদস্যদের নামও রয়েছে। অথচ এতে অনেক চিহ্নিত রাজাকারের নাম বাদ পড়েছে বলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। ফলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকায় দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হৃদয়ে আঘাত দেয়া হয়েছে, তাদের অসম্মান করা হয়েছে। যা দেশ ও জাতির জন্য লজ্জার।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডে সমগ্র জাতিকে দেশ ও দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে পদদলিত করা হয়েছে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব নিয়ে এবং বীরত্বগাঁথা সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সরাসরি রাষ্ট্রদ্রোহিতার মতো গর্হিত অপরাধ করেছেন। যা দেশের প্রচলিত সংবিধান পরিপন্থী।
প্রসঙ্গত, ১৫ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ১০ হাজার ৭৮৯ জন স্বাধীনতাবিরোধীর ওই তালিকা প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। কিন্তু ওই তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম আসায় তীব্র সমালোচনা হয়। এই অবস্থায় গত বুধবার ওই তালিকা স্থগিত করা হয়।
Leave a Reply