ক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত নিজের মৃত্যু চান না জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

৩০ ডিসেম্বরের ভোটের কড়া সমালোচনা করে আ স ম আবদুর রব বলেন, জীবনে অনেক নির্বাচন দেখেছি। আইয়ুব খানের নির্বাচন দেখেছি, এরশাদের নির্বাচন দেখেছি। এবার ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোট ডাকাতির নির্বাচন দেখেছি, যেখানে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি। বয়স অনেক হয়েছে। মরার আগে আওয়ামী লীগের বিদায় দেখে যেতে চাই।

সরকারবিরোধী আন্দোলন কর্মসূচির বিষযে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন, আপনি বলুন, আমরা যারা ঐক্যফ্রন্টে আছি তারা আন্দোলন করব। আপনাকে রাস্তায় নামতে হবে না। আমার শরীরের এখনো অনেক গুলির চিহ্ন আছে। আমি কোনো ভয় করি না।’

আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বলে তারা অবৈধ নয়, তাদের সঙ্গে জনগণ আছে। তারা বলে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন না হলে জনগণ আন্দোলন করে না কেন? আমি তাদের বলতে চাই, বিশ্বে ৩০ থেকে ৩২ বছর স্বৈরাচার ক্ষমতায় থাকার উদাহরণ আছে। তাহলে কি এই দীর্ঘ সময় স্বৈরাচার সরকার বৈধ ছিল?

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা মান্না আরও বলেন, দেশে যারা এখন রাষ্ট্রক্ষমতায় আছেন, তারা এককথায় ডাকাত। তারা ভোট ডাকাতি করে একবছর, দুই বছর বা পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আপনাদের ক্ষমতা থেকে যেতে হবে। এখনও সময় আছে, ভালোভাবে ক্ষমতা ছাড়ুন। দেশে আন্দোলন হবে, আওয়ামী লীগকেও ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, বিকল্প ধারার সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী প্রমুখ।