‘ওবায়দুল কাদের চাননি আমি উপদেষ্টা হই’ বলে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে চ্যানেল আইয়ের বিশেষ অনুষ্ঠান ‘টু দ্যা পয়েন্ট’ আনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন জয়নাল হাজারি । সবাই বলছে বর্তমানে ওয়ান ইলেভেনের মতো পরিস্থিতি চলছে, এমন সময় জয়নাল হাজারীর উত্থান হলো! উপস্থাপকের এ মন্তব্যের জবাবে জয়নাল হাজারী বলেন, উত্থান হলো একারণেই যে, সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য দিয়েছে, জয়নাল হাজারী কোনো সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সাথে জড়িত না। জননেত্রী ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন, যাতে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাকে দলে এনে এই পদ দিলে তার জনপ্রিয়তা বাড়বে কি কমবে তা প্রধানমন্ত্রী ভালোভাবেই উপলব্ধি করেছেন এবং করেন। তিনি বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করেছি, অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। অনেক নির্যাতন সহ্য করেছি। ফেনী কলেজের জিএস ছিলাম, বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে টানা ৫ বছর জেল খেটেছি এবং বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে আর্মি আমাকে একটানা এক মাস ১০ দিন ক্যান্টনমেন্টে আটকে রেখেছিলো। এরকমভাবে অনেক অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছি। সেই সবকিছুকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য এবং এখন তিনি বুঝতে পারেন, জয়নাল হাজারীকে উপদেষ্টা করলে তার কোন সমালোচনা হবে না। তাই তিনি আমাকে উপদেষ্টা করেন এবং সমালোচনা হয়নি। আমাকে উপদেষ্টা করা হয়েছে একমাস আগে।

উপদেষ্টা করা হলেও কাগজটা তুলে দিতে একমাস লাগলো এবং সেই কমিটিতে যেখানে জাতীয় নেতারা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদরা আছে সেখানে স্থান দিয়ে আপনাকে সম্মানিত করা হলো। প্রশ্ন হলো, এটা করতে দেরী হলো কেন? উপস্থাপকের এই প্রশ্নের জবাবে জয়নাল হাজারী বলেন, আমাকে এই প্রশ্নের জবাব অনেক জায়গায় দিতে হয়েছে।
আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব আমাকে এ পদে চান নাই। তার ধারণা, আমাকে উপদেষ্টা করা হলেই আমি ফেনী যাবো। আর ফেনী গেলেই আমি সেখানের রাজনীতি করায়ত্ব করবো। সেখানের রাজনীতি আমার দখলে আসতে পারে, অনেককিছু তার ধারনা, যা বাস্তব নয়। এই ধারণা থেকেই তিনি মনে করেন আমি ফেনী গেলে তিনি আর যেতে পারবেন না, অথচ ফেনী তা প্রিয় জায়গা । তিনি কুমিল্লা, নোয়াখালী কিংবা চট্টগ্রাম গেলে এই ফেনী সার্কিট হাঊজে থাকেন। ফেনী সার্কিট হাউজে থাকতে উনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কিছু বিষয় আছে যেটা বলা যাবে না।

এটা কি খুব অভ্যন্তরীন বিষয়, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুবই ব্যক্তিগত বিষয় যা বললে নেত্রীও আমার ওপর অসন্তষ্ট হবেন। যেই নেত্রী আমার ওপর সন্তষ্ট হয়ে সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে আমাকে এই পদ দিলেন সেই নেত্রীও আমার উপর অসন্তষ্ট হবেন। তিনি মনে করবেন আমার দলের সাধারণ সম্পাদকের ইমেজ নষ্ট করার জন্য এটি করা হয়েছে।
তিনি কি বিষয়টি জানেন, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি অনেক কিছু জানেন তবে একটি বিষয় হয়তো তিনি জানেন না । এতো কিছুর পার ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনার হাতে কাগজ তুলে দিয়ে আপনাকে সম্মানিত করলেন। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাদের সাহেব দুইবার সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে আমাকে উপদেষ্টা করার বিষয়ে তিনি কিছু জানে না । অথচো সেই তিনি আমাকে কাগজ তুলে দিলেন। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

https://www.facebook.com/watchparty/490030518255096/?entry_source=FEED