জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ অক্টোবর ২৮, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 1123 বার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের আত্মস্বীকৃত খুনি মেজর (বরখাস্ত) বজলুল হুদার আপন শ্যালক হলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রভাবশালী পরিচালকদের একজন হানিফ ভূঁইয়া।
শুধু তাই নয়, কক্সবাজারের কুখ্যাত রাজাকার মাওলানা ফরিদ আহমেদের জামাতা হলেন বিসিবি সহ-সভাপতি, পরিচালক এবং গ্রাউন্স কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম।
দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে হানিফ ভূঁইয়া এবং মাহবুব আনাম সম্পর্কে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
হানিফ ভূঁইয়ার বড় বোন নাফিজা মরিয়ম হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের খুনি বজলুল হুদার স্ত্রী। তিনি হানিফ ভূঁইয়ার সঙ্গে একই সঙ্গে ধানমন্ডির রোড ৭/এ, বাসা নং-৬১; এই ঠিকানায় বসবাস করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের উপর অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়া বিপথগামী সেনা সদস্যদের অন্যতম বজলুল হুদা দেশের তৎকালীন ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণপুরুষ ও জনপ্রিয় ক্লাব আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামালকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। হুদার গুলিতে আরও প্রাণ হারিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ আবু নাসের।
হানিফ ভূঁইয়া প্রথম বিভাগের ক্লাব র্যাপিড ফাউন্ডেশনের কর্ণধার। এই ক্লাবের কাউন্সিলর হিসেবে তিনি বিসিবিতে নির্বাচন করেন। সেই সঙ্গে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান লিমিটেডের পরিচালক পদেও তিনি আছেন। জানা গেছে, এরশাদ সরকার পরবর্তী বিএনপির শাসনামলে সক্রিয় ফ্রীডম পার্টির সঙ্গে হানিফ ভূঁইয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল।
অপরদিকে, বিসিবির সহ-সভাপতি মাহবুব আনামের শ্বশুর মাওলানা ফরিদ আহমেদ পাকিস্তান আমলে শ্রমমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে সব ধরনের সহযোগিতা তিনি করেছিলেন। মাওলানা ফরিদের নির্দেশনায় পাক-হানাদার বাহিনী কক্সবাজারে নির্যাতন চালায়। কথিত আছে, সেই ক্ষোভেই মুক্তিকামী জনতা ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের শেষদিকে তাকে গণপিটুনিতে মেরে ফেলে।
পরবর্তীতে মাওলানা ফরিদের ছেলে অ্যাডভোকেট খালেকুজ্জামান ১৯৯৬ সালে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর কক্সবাজারের ওই আসনে তার ছোট ভাই ইঞ্জিনিয়ার শহীদুজ্জামান বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন।
Leave a Reply