রাজনীতি | তারিখঃ অক্টোবর ১২, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 579 বার
প্রেসিডিয়াম বৈঠকে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর অনুপস্থিতিতে সংগঠনে তার অবস্থান নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, যুবলীগের রাজনীতি থেকে আউট হয়ে গেছেন তিনি। ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনের সভাপতিত্ব করতে পারেন ভারপ্রাপ্ত কেউ।
গত ২০ সেপ্টেম্বর উত্তরায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সর্বশেষ অংশ নিয়েছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী। ব্যাংক হিসাব তলব ও বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর থেকেই তিনি সবকিছু এড়িয়ে চলছেন। এমনকি যান না নিজের প্রতিষ্ঠিত যুব গবেষণা কেন্দ্রেও।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে ওমর ফারুক চৌধুরী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখান। তারা এতদিন ‘আঙুল চুষসে’ কি না সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারও দাবি করেন। তবে একদিনের মধ্যেই তার সুর নরম হয়ে যায়। তিনি চলমান অভিযানকে স্বাগত জানান। পরে তার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে এবং বিদেশে সফরে এসেছে নিষেধাজ্ঞা। এরপর থেকেই তিনি চলে যান আড়ালে। আওয়ামী লীগের রেওয়াজ অনুযায়ী দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো দেশে সফরে গেলে ওই দেশে যাওয়ার উদ্দেশে গণভবন থেকে বের হওয়ার সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাকে বিদায় জানান। একইভাবে বিদেশ থেকে ফেরার পরেও গণভবনে নেতারা উপস্থিত হয়ে তাকে স্বাগত জানান। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময়ও করেন।
গত ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে ফেরার দিনে গণভবনে উপস্থিত ছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী। গণভবনে উপস্থিত থাকা একাধিক নেতা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ওইদিন যুবলীগের নেতারা যে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওইদিকে তাকাননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে যুবলীগের আসন্ন সম্মেলনেও উপস্থিত থাকতে পারবেন না ওমর ফারুক চৌধুরী। ভারপ্রাপ্ত কেউ হয়তো সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবেন। শুক্রবারে প্রেসিডিয়াম বৈঠকে যুবলীগ চেয়ারম্যান কেন উপস্থিত ছিলেন না এই বিষয়ে কোনো কথাই বলেননি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ। বিষয়টি এড়াতে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন না। কয়েকজন সাংবাদিক তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। বলেন, নামাজের (জুমা) সময় হয়ে গেছে, আমাকে মসজিদে যেতে হবে। পরে যুবলীগের কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তারা বলেন, চেয়ারম্যান নিজেই বৈঠক ডেকেছিলেন, কিন্তু তিনি কী কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি এই বিষয়ে বলতে পারবো না। প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আতিয়ার রহমান দিপু বলেন, ‘হয়তো ব্যস্ততা কিংবা অসুস্থতার কারণেও না আসতে পারেন।’ ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে সভাপতিত্ব কে করবেন, জানতে চাইলে অধ্যাপক এ বি এম আমজাদ হোসেন বলেন, ‘এর দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। উনি যেভাবে বলবেন সেভাবেই হবে। আজকে সাধারণ সম্পাদক সভাপতিত্ব করেছেন। চেয়ারম্যানের মতো একটি বড় পোস্টের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন আমরা তাই করবো।’
Leave a Reply