বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের ভেতর থেকে আবরার ফাহাদ (২১) নামের এক ছাত্রর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিবির সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফাহাদ বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন।

ফাহাদ কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামের বরকত উল্লাহ ছেলে।
আবরারের রুমমেট সৈকত বলেন, ‘সন্ধ্যা সাতটা থেকে আটটার মধ্যে রুম থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় আবরারকে। তারপর আর জানি না। রাত দুইটার সময় ওর লাশ পাওয়া যায় একতলা আর দুইতলার মাঝের স্থানে।’

আবরারকে দেখতে পেয়ে তার বন্ধুরা ডাক্তার ডাকলে বুয়েট মেডিক্যাল অফিসার মো. মাশুক ইলাহী রাত তিনটায় আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন।

বুয়েটের দায়িত্বরত চিকিৎসক মাসুক এলাহী গনমাধ্যমকে বলেন, ‘রাতে আমি ডিউটিতে ছিলাম। রাত ৩টার দিকে ছাত্রদের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হলের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার মাঝামাঝি জায়গায় ফাহাদকে পড়ে থাকতে দেখি। তখন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’বুয়েট শিক্ষার্থী-শিবিরকর্মী সন্দেহে

চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, রাতে বুয়েট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা হল থেকে ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।