ক্ষমতাসীনদের শত-শত নেতাকর্মী ক্যাসিনো ও জুয়ার ব্যবসা করে। শামীম, খালেদ, সম্রাট মাত্র তিনটি নাম। এরকম আরো শত-শত নাম আছে যারা যুবলীগ করে, চাঁদাবাজী করে, নেশা করে, ক্যাসিনো চালায়, জুয়ার আসর বসায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এগ্রিকালচারিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত মানববন্ধন তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসম্য তিনি আরো বলেন,
সরকারে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না । যে মামলায় ৭ দিনের মধ্যে জামিন হয়ে যাওয়ার কথা সেখানে একবছর ৭মাস। জামিন হচ্ছে না। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। কোথাও আমরা রিলিফ পাই না। কোনো আদালতে আমাদের জন্য রিলিফ নাই।কারণ তারা এ আদালতগুলোকে নিজেদের প্রভাবে রেখেছে।সে জন্য রাজপথেই একমাত্র পথ। যে পথে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

ক্যাসিনো বাণিজ্যের বিষয়ে স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, শামীম, খালেদ, সম্রাট মাত্র তিনটি নাম। এরকম আরো শত-শত নাম আছে যারা যুবলীগ করে, চাঁদাবাজী করে, নেশা করে, ক্যাসিনো চালায়, জুয়ার আসর বসায়।

তিনি বলেন, আজকে খবরের কাগজে খুব ভালো করে দুর্নীতির বিষয়টি চাপানো হলেও ক’দিন পর ধামাচাপা দেওয়া হবে। কারণ এদের সাথে যে এমপি মন্ত্রীরা জড়িত তাদের প্রভাবে কিছুই করা হবে না।

ব্যরিস্টার মওদুদ বলেছেন, সংবিধানে নির্বাচন বলতে যা বুঝায় সে নির্বাচন বাংলাদেশে হয় নাই। সেজন্য আমাদের দেশে একটি জবাবদিহিতা হীন সরকার বিরাজ করছে। সরকারের প্রত্যাকটা ক্ষেত্রে যে পতন ঘটছে এ পতনের একমাত্র কারণ হলো দেশে কোনো প্রতিনিধিত্ব সরকার নাই। যার কারণে এই সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আদালত সর্বত দুর্নীতি ছড়িয়ে গেছে। তাই এ সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু একটি নির্বাচন দেবে। সে নির্বাচনে সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনীধিত্ব সরকার প্রতিষ্ঠা হলেই এই নৈরাজ্য দূর হবে।