১৯৮৮ সালে প্রকাশ্যে রাজপথে জামায়াত শিবিরের সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী মুনির, তপন ও জুয়েল স্মরণে সিলেট নগরীতে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আলোর মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মিছিল থেকে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি করা হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফের শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সাংস্কৃতিক মোর্চা এই মিছিলের আয়োজন করে।

মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তারা বলেন, ‘১৯৮৮ সালে প্রকাশ্যে রাজপথে প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী মুনির-ই-কিবরিয়া চৌধুরী, তপন জ্যোতি দে ও এনামুল হক জুয়েলকে হত্যার মাধ্যমে সিলেটে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী রাজনীতির উত্থান ঘটে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজও এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি। এই হত্যাকারীদের শাস্তি না হওয়ায় পরবর্তীতে সিলেটে একের পর এক খুনের রাজনীতি চালিয়ে যায় জামায়াত-শিবির।’
বক্তারা পুনঃতদন্তের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের পুনঃবিচার, প্রয়োজনে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান।

আলোর মিছিলে অংশ নেন মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সাংস্কৃতিক মোর্চার আহ্বায়ক মিশফাক আহমদ মিশু, তৎকালীন ছাত্রনেতা জাকির হোসেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আল আজাদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এনামুল মুনির, নাগরিক মৈত্রীর আহ্বায়ক সমর বিজয় শী শেখর, জাসদ নেতা কিবরিয়া চৌধুরী ও গিয়াস আহমদ, বাসদ নেতা আবু জাফর ও প্রণবজ্যোতি পাল, গণসঙ্গীত শিল্পী অংশুমান দত্ত অঞ্জন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদর সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত, গণজাগরণ মঞ্চের নেতা দেবাশীষ দেবু প্রমুখ।