অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 394 বার
এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। অভিযানের খবর পেয়েই তিনি পালিয়ে গেছেন সিঙ্গাপুরে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাঈদ তার অবৈধ টাকা পাচার করেছেন সিঙ্গাপুর এবং রাশিয়ায়। রাশিয়ায় তার নামে তিনটি ব্যাংক একাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালে রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা দেখতে রাশিয়াতে যান সাঈদ। সেখানে ১০ দিনেই তিনি খরচ করেছেন ৫৬ হাজার ডলার। সেই সময়ে মস্কো প্রবাসীদের আলোচনার বিষয় ছিল এটি।
মস্কোতে গিয়েই সখ্যতা গড়ে উঠে রাশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি আবদুল্লাহ আল মামুন রাজিবের সঙ্গে। পরে একাধিকবার রাশিয়া গিয়েছেন সাঈদ। মদ, জুয়া আর সুন্দরী নারীর জন্য রাশিয়া পুরো দুনিয়ার মধ্যে আকর্ষণীয় জায়গা। এই নেশায় পেয়ে বসে সাঈদকে। তাই রাশিয়ায় ঘন ঘন যেতে থাকেন সাঈদ। রাশিয়ার ব্যাংকে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করতে থাকেন টাকা। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, রাজিবের সহায়তায় এসব টাকা জমা রেখেছেন রাশিয়ার এসবিয়ার ব্যাংক, আলফা ব্যাংক এবং রাইফাইজান ব্যাংকে।
রাশিয়ায় পড়তে যাওয়া গরীব পরিবারের সন্তান রাজিব হঠাৎ করে বিলাসী জীবন শুরু করেন। ঢাকার উত্তরায় বাড়ি করেছেন, কিনেছেন দামি ফ্ল্যাট। বাংলাদেশ এবং রাশিয়া দুই দেশেই কিনেছেন গাড়ি। একাধিক রাশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সাঈদ কমিশনারের টাকায় ভাগ্য বদলে যায় রাজিবের। সাঈদ কমিশনারের টাকা বিদেশে পাচারে কারা কারা জড়িত আছে এটা খুঁজতে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে।
সাঈদ কমিশনারের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তিনি ১০ বছর আগে ঢাকায় গাড়ির তেল চুরির ব্যবসা করতেন। এখন তিনি এলাকায় যান হেলিকপ্টারে চড়ে। এমপি হতে চান আগামী দিনে। যার তোড়জোড় শুরু হয়েছে এখন থেকে। দোয়া চেয়ে এলাকায় লাগানো হচ্ছে পোস্টার।
রাজধানীর ক্যাসিনোর বড় একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ ছিল সাঈদ কমিশনারের হাতে। সেই টাকা এখন রাশিয়ার ব্যাংকে রয়েছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে। মমিনুল হক সাইদ আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তার পিতা এ কে এম জহিরুল হক ১৯৭০ সালে আঞ্চলিক ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ পরবর্তীতে আঞ্চলিক আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তার দাদা আজগর আলী বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা ছিলেন।
উৎস -ইত্তেফাক
Leave a Reply