অ্যান্ড্রু কিশোর চিকিৎসা নিতে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। চিকিৎসা নিতে যাওয়ার আগেরদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ১০ লাখ টাকা অনুদান দেন। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন অ্যান্ড্রু কিশোরের একজন আত্মীয়।

এবার অ্যান্ড্রু কিশোরের সহকারী মোমেন বিশ্বাসের বরাত দিয়ে কথা বললেন সামিনা চৌধুরী।

তিনি বলেন, বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী অ্যান্ড্রু কিশোর‘দা কে ডাকা হয়েছিল একটা প্রোগ্রামের ব্যাপারে আলাপ করার জন্য! অ্যান্ড্রু ‘দা মাসখানেক ধরে হরমোনের সমস্যায় ভুগছেন এটা উনার ছোটবেলা থেকেই সমস্যা! এ কারণে ওজন একটু কমে গিয়েছে! স্কিনের কালার একটু চেঞ্জ হয়েছে।

সোশ্যাল হ্যান্ডেলে সামিনা চৌধুরী বলেন, এটা জিজ্ঞেস করার পর এবং জানবার পর প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকে দাদাকে দশ লাখ টাকা পরিমাণ অর্থের একটি চেক দিয়েছেন। এন্ড্রু ‘দা নিতে না চাইলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন যে চেকটি তিনি বড় বোন হিসেবে দিতে চাইছেন। একটা রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী যদি নিজে থেকে কাউকে কিছু দিতে চান সেটা উপেক্ষা করা তাঁকে অসম্মান করা বৈকি। আমি যতটুক জেনেছি,টাকার ব্যাপারটা এটুকুই।

তিনি বলেন, ধন্যবাদ মোমেন বিশ্বাসকে,আমি তার কাছে পুরো ঘটনাটি জানতে চাই এবং জানতে পারি। আমরা অনেক কষ্টে একজন ক’রে ক্ষণজ্ন্মা মৌলিক কণ্ঠশিল্পী পাই। তাঁকে ভালোবাসা দিয়ে মনে সাহস দিয়ে বাঁচতে এবং গান গেয়ে যেতে সাহায্য করা যে আমাদের এবং আমাদেরই দায়িত্ব।

সামিনা বলেন, দশ লাখ টাকার জন্য যে অ্যান্ড্রু ‘দার মতো শিল্পী কারো কাছেই টাকা চাইবেননা এ ব্যাপারে অন্তত আমি নিশ্চিত। আমি তাঁর স্নেহধন্য ছোট বোন,সবসময় তাঁদের স্নেহের ছায়ায় আছি,থাকতে চাই আজীবন। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা সবাই এখন প্রিয় শিল্পী অ্যান্ড্রু কিশোরের জন্য প্রার্থনা করি তিনি যেন সুস্হ হয়ে ফেরেন ,আমীন এবং যেন খুশী মনে গেয়ে ওঠেন” আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি….এই চোখ দু’টো মাটি খেয়োনা…”