অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 384 বার
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার ২৯ নং ডিএম খালী বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ শ্রেণির ১১ ছাত্রীর চুল জোরপূর্বক কেটে দেয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ খোদ ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাবেরী গোপের বিরুদ্ধে। তার নির্দেশে বিদ্যালয়ের দপ্তরী জুম্মান উকিল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্তে এর প্রমাণও পেয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
স্থানীয় ও উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম উকিলপাড়ায় ২৯ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয় ৫ম শ্রেণিতে ১৯জন শিক্ষার্থী রয়েছে যার মধ্যে ১৩ জনই ছাত্রী। গেল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাবেরী গোপ ১৩ জন ছাত্রীর মধ্যে ১১ জন ছাত্রীর চুল কেটে দিয়েছেন। চুল কেটে দেয়ায় শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। ইতিমধ্যে একজন ছাত্রী মাথা ন্যাড়া করে ফেলেছে।
এ ঘটনায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মশিউল আজম ও গোলাম মোস্তফা তদন্ত করেছেন। তদন্তে ছাত্রীদের চুল কেটে নেয়ার বিষয়টি প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্ত কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে একটি প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে।
কয়েকজন অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মেয়েরা তো চুল রাখবেই। চুল মেয়েদের সৌন্দর্য। এখন ওরা বড় হচ্ছে এমন সময় এভাবে চুল কেটে দেয়া এটা মেনে নেয়ার মতো না। পুরুষ দপ্তরিকে দিয়ে জোড়পূর্বক চুল কাটার সময় মেয়েরা কান্নাকাটিও করেছে।
প্রধান শিক্ষক কাবেরী গোপ ঘটনাটি অকপটে স্বীকারও করেছেন। তিনি বলেন, অভিভাবকদের এর আগে আমি কয়েকবার বলেছি। কিন্তু তারা কথা শোনেনি। মান সম্মত শিক্ষার জন্যই আমি ওদের চুল কেটে দিয়েছে। মান সম্মত শিক্ষার সাথে চুল কাটার সম্পর্ক কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সব কিছু শিক্ষারই অংশ। আর সব কিছু ম্যানুয়ালে থাকে না।
জেলা প্রাথামিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেয়া দুঃখজনক ঘটনা। তদন্তে ঘটনার সত্যতাও পাওয়া গেছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন উপ পরিচালকের বরাবর পাঠিয়ে দেয়া হবে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply