অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 800 বার
প্রেমিক সম্পর্কে বেয়াই। সেই বেয়াই প্রেমিকের বাড়ীতে বিয়ের দাবিতেঅনশন করছে এক কলেজছাত্রী।
প্রেমিক প্রেমিকা সম্পর্কে বেয়াই-বেয়াইন । প্রথমে মোবাইলে প্রেম, এরপর বাড়িতে আসা-যাওয়া। এভাবেই দুই বছর ধরে চলছিল প্রেম। প্রত্যেক মাসে বেয়াই আসতো বেয়াইনের বাড়িতে। এখন বিয়ে করতে বললেই করছে তালবাহানা। অবশেষে বিয়ের দাবিতে সেই প্রেমিকের বাড়ির সামনে অনশন করছে এক কলেজছাত্রী।
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের কোলদিঘী গ্রামে। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে নারী-পুরুষ এসে ওই বাড়িতে ভিড় করছেন।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে প্রেমিকের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন করছে ওই কলেজছাত্রী। সুযোগ বুঝে পালিয়েছে প্রেমিক। বিয়েতে ছেলে পরিবারের কেউই রাজি নন।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের দশমাইল কলতাপাড়ার মৃত আবেদ আলীর মেয়ে আইরিন (১৯) বগুড়া সরকারি আঃহঃ কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী।
অনশনরত অবস্থায় ওই কলেজছাত্রী প্রশ্নের জবাবে সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের কোলদিঘী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে রুস্তম আলী (২৭) একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকুরি করে। সম্পর্কে বেয়াই। মোবাইল ফোনে দুই বছর ধরে প্রেম। প্রেম থেকে সম্পর্ক গড়িয়েছে দৈহিক সম্পর্কে।
প্রত্যেক মাসেই বিয়াই আসতো বাড়িতে। খবর পেয়েছি, বিয়ের জন্য ওর বাপ-মা পাত্রী দেখতেছে। আমি রুস্তমকে ফোন করলে সে তালবাহানা শুরু করে। পরে বাধ্য হয়েছি এখানে আসতে। এখন আমাকে বিয়ে করতেই হবে। অন্যথায় এখান থেকে আমার লাশ যাবে।
কলেজছাত্রী আইরিন জানায়, আমি রুস্তমের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবি জানালে ওর পরিবারের লোকজন আমাকে মারধর করেছে। আমাকে বিয়ে করবে বলে রুস্তম আমাকে ব্যবহার করছে। আপনারা আমাকে ন্যায় বিচার দিন। রুস্তম আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করবো।
এদিকে ছেলে পলাতক হলেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত রুস্তমের বাবা আব্দুল লতিফ জানান, আইরিনের পরিবারের লোকজনের সাথে কথা হয়েছে। ওরা আসলে দেখি কি করা যায়।
নন্দীগ্রাম থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনিছুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে থানায় জানিয়েছেন।
Leave a Reply