বহুল আলোচিত রিফাত হত্যা মামালার আসামি আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির পক্ষে আইনজীবীদের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। এবার মিন্নির জামিন শুনানিতে স্বউদ্যোগে অংশ নিয়েছেন খোদ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন।

মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে মিন্নির জামিন বিষয়ে শুনানিতে অংশ নেন তিনি।

আদালতে শুনানিতে এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ১৬৪ ধারায় মিন্নির জবানবন্দী পড়লে বোঝা যায়, এটা সাজানো। একজন মানুষের পক্ষে ঘটনার এমন গোছানো সুন্দর বর্ণনা দেয়া সম্ভব না। মি্ন্নিকে ডেকে নিয়ে সারাদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। একটা মেয়েকে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার উপর কতটা চাপ থাকে তা সহজেই বোঝা যায়! এছাড়াও এ মামলার আরেক আসামীকে ১ জুলাই গ্রেফতারের পর ১৪ জুলাই জবানবন্দী নেয়া হয়েছে, সময়ের এই বড় ব্যবধানও রহস্যজনক।

এ এম আমিন উদ্দিন মিন্নির জামিন প্রার্থনা করে আরও বলেন, এই মামলায় মিন্নি সহ ৫ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। সুতরাং এখন আর মামলার তদন্ত প্রভাবিত করার সুযোগ নেই। মিন্নি একজন ১৯ বছরের নারী। তাই যেকোন শর্তে তার জামিন চাচ্ছি। জামিন নিয়ে সে পালাবে না। সে তার বাবার জিম্মায় থাকবে।

মিন্নির জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো: সরোয়ার হোসেন বাপ্পী বলেন, মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১৫ জন আসামির মধ্যে ৫ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের বক্তব্যে রিফাত হত্যার সঙ্গে মিন্নির সম্পৃক্তার কথা উঠে এসেছে। মিন্নিই রিফাত হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। সুতরাং তাকে জামিন দেওয়ার সুযোগ নেই।

শুনানি শেষে আদালত মিন্নিকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

আদালতে মিন্নির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আইন খান পান্নাও শুনানি করেন। এছাড়া মিন্নির পক্ষে ব্যারিস্টার অনিক আর হক, অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা, আইনুন্নাহার লিপি, মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম, জামিউল হক ফয়সালসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।