প্রতি ঈদে টেলিভিশনের চাহিদাসম্পন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আয় বেশ বেড়ে যায়। নির্মাতারা তাদের নিয়ে বিভিন্ন চ্যানেলের জন্য একের পর এক নাটক ও টেলিফিল্ম নির্মাণ করেন। এতে চাহিদাসম্পন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নাটক-টেলিফিল্মের সংখ্যাও বেড়ে যায়। বলা যায়, সারাবছর তারা যে নাটক করেন, দুই ঈদে তার প্রায় দ্বিগুণ নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করেন। এবারের কোরবানির ঈদে নাটকের সংখ্যা ও ইনকামের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন অভিনেতা আফরান নিশো ও অভিনেত্রী মেহজাবীন। অথচ এই বছরখানেক আগেও ঈদে ইনকামের দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকতেন মোশাররফ করিম, জাহিদ হাসান, চঞ্চল চৌধুরী। এবার তাদের পেছনে ফেলেছেন নিশো। এর কারণ দর্শক চাহিদা। এই চাহিদায় নিশো এবার উল্লেখিত অভিনেতাদের চেয়ে এগিয়ে।

এবারের ঈদে টেলিভিশন ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম মিলিয়ে নিশো ৩৭টি নাটকে অভিনয় করেছেন। প্রতি নাটকে পারিশ্রমিক নিয়েছেন গড়ে ৬০ হাজার টাকা করে। এ হিসেবে ঈদে তার আয় ২২ লাখ ২০ হাজার টাকা। তারপর রয়েছেন এক সময়ের ক্রেজ মোশাররফ করিম। এবার তিনি ১৯টি নাটকে অভিনয় করেছেন। তবে পারিশ্রমিকের দিক থেকে এখনো তিনি শীর্ষে। নাটক প্রতি তার পারিশ্রমিক ৮০ হাজার টাকা। এ হিসেবে ঈদে তার আয় হয়েছে ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। তারপর এগিয়ে আছেন অভিনেত্রী মেহজাবীন। তিনি ২৪টি নাটকে অভিনয় করেছেন। নাটক প্রতি ৫০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে আয় করেছেন ১২ লাখ টাকা।

তারপর রয়েছেন অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব। তিনি অভিনয় করেছেন ৩৪টি নাটকে। ৩৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিকে তার আয় হয়েছে ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। অভিনেত্রী তানজিন তিশা ২৩টি নাটক করে ৩৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক আয় করেছেন ৮ লাখ ৫ হাজার টাকা। বলা বাহুল্য, দর্শক চাহিদার কারণে নির্মাতারা এসব অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে নাটক নির্মাণ করেন। তাদের প্রতি চ্যানেলগুলোর আগ্রহও রয়েছে। তবে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বলেছেন, তাদের পারিশ্রমিকের কোনো সুনির্দিষ্ট অংক থাকে না। স¤পর্কের খাতিরে কখনো কখনো তারা পারিশ্রমিক কিছুটা কম নেন। আবার অনেকে ঈদ উপলক্ষে পারিশ্রমিক বাড়িয়েও দেন।

উৎসঃ ইনকিলাব