অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ আগস্ট ১২, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 432 বার
কিশোরগঞ্জে নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়াকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ জানিয়েছে, এদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনজন পলাতক রয়েছেন।
বাসচালক নূরুজ্জামান নূরু, হেলপার লালন মিয়া এবং বাসচালকের খালাতো ভাই বোরহান সরাসরি ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত ছিল বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন-বাসচালক নূরুজ্জামান নূরু, হেলপার লালন মিয়া, আল আমিন, রফিকুল ইসলাম রফিক, খোকন মিয়া, বকুল মিয়া ওরফে ল্যাংরা বকুল, বাস মালিক মো. আল মামুন, বোরহান ও স্বর্ণলতা পরিবহনের এমডি পারভেজ সরকার। এদের মধ্যে তিনজন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ আরটিভি অনলাইনকে জানান, আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছি। কোনও আসামি এ মামলা থেকে রেহাই পাবে না। আমরা এ মামলাটির ব্যাপারে দ্রুত সব কার্যক্রম গ্রহণ করছি। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গেল ৬ মে রাতে ঢাকার মহাখালী থেকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের পিরিজপুর রুটে চলাচলকারী ‘স্বর্ণলতা’ নামের বাসে নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। তিনি কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মো. গিয়াসউদ্দিনের মেয়ে।
তানিয়া ইবনে সিনা হাসপাতালের কল্যাণপুর ক্যাম্পাসে সেবিকা পদে কর্মরত ছিলেন। কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের বিলপাড় গজারিয়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। তানিয়া ঢাকা থেকে নিজ গ্রামে ফিরছিলেন। এ ব্যাপারে গেল সাত মে তানিয়ার বাবা মো. গিয়াসউদ্দিন বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply