নাটোরের সিংড়ায় রেশমি খাতুন (১৯) নামে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে আপন চাচা। রবিবার বেলা ৩টার দিকে সিংড়া উপজেলার ইটালী ইউনিয়নের দেওগাছা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। চাচা শাহাদৎ হোসেনকে (৩৫) আটকের পর পুলিশের সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
রেশমি খাতুন স্থানীয় বামিহাল রহমত ইকবাল অর্নাস কলেজের এইচএসসির মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং দেওগাছা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানায়, উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামে রেশমি খাতুনের দাদা মারা যায়। বাড়ির সবাই সেই জানাযায় অংশ নিতে যায়। এ সময় রেশমি বাড়িতে একা ছিল। এই সুযোগে চাচা রেশমিকে ধর্ষণ করে মাটির ঘরের দোতালায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে রাখে।

বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে রেশমির ছোট বোন ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দোতালায় রেশমির লাশ ঝুলতে দেখে চিৎকার শুরু করে।

পরে এলাকাবাসীরা চাচা শাহাদৎ হোসেনকে আটক করে পুলিশ খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। আটক শাহাদৎ হোসেন মৃত মসলেম উদ্দিনের ছেলে।

সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে রেশমি খাতুনকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে করে ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসবে।